Saturday, January 31, 2015

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানো

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য অফপেইজ এসইওর সম্পূর্ণ ধারাবাহিক প্রক্রিয়া
ওয়েবসাইটে ভিজিটর পাওয়ার জন্য এবং গুগলের সার্চে টপে আসার জন্য সবচাইতে বড় মাধ্যম গেস্ট ব্লগিং যদি আপনি নিয়মিত লেখেন এবং সেই লেখার মাধ্যমে এসব ওয়েবসাইটের সকল ট্রাফিককে যদি আকর্ষণ করতে পারেন, তাহলে শুধুমাত্র আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরই বৃদ্ধি পাবেনা, সাথে আপনার কোম্পানীর ব্রান্ডিংও হবে এবং সাথে ফ্রি হিসেবে আপনার নিজেরও ব্যান্ডিং হবেপ্রতি সপ্তাহে একটি করে আর্টিকেল লেখুন এবং ভাল পেজর‌্যাংকের গেস্টব্লগিং সাইটে সেটি পোস্ট করুন একটি লেখা থেকে ২-৩টি ব্যাকলিংক খুব সহজে পাবেনলেখালেখি করতে জানেনা, তাহলে পড়ুন আমার লেখাটি
সময়ঃ একটি আর্টিকেল লিখতে সময় লাগে ৮-১০ ঘন্টাএটি সাপ্তাহিক সময়সেটি পোস্ট করতে লাগে ১৫ মিনিট
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং:
জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইটগুলোকে আপনার ওয়েবসাইটের প্রচারে কাজে লাগান ওয়েবসাইটের নামে পেজ, গ্রুপ খুলুনএবং বিভিন্ন প্রোফাইল কিংবা ওয়েবসাইট রিলেটেড বিভিন্ন গ্রুপগুলোতে ওয়েবসাইটের প্রচার করুনপ্রতিদিন বিভিন্নভাবে ওয়েবসাইটকে প্রচার করুনমনে রাখবেন যখন আপনি কোন কিছুর ব্রান্ডিংয়ের জন্য কাজ করবেন, তখণ শুধু একদিন গিয়ে ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করলে সেটা কখনও ব্রান্ডিং হয়নাব্রান্ডিং এর জন্য প্রতিদিনি বিভিন্নভাবে ওয়েবসাইটের লিংককে শেয়ার করতে হয়তাহলেই আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ার সম্ভাবনা বাড়বে
সময়ঃ প্রতিদিন ১ঘন্টা সময় লাগবে
ব্লগ কমেন্ট করুনঃ
ভাল মানের ব্লগ কমেন্টিংয়ের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর পাওয়া যায় এবং শক্তিশালী ব্যাকলিংকও পাওয়া যায়যেই ওয়েবসাইটের ব্যাপারে এসইও করবেন, সেই ওয়েবসাইটের কনটেন্ট রিলেটেড কমপক্ষে ৫টি হাইপেজর‌্যাংকের ব্লগ নির্ধারণ করুনসেইসব ব্লগগুলোর নিয়মিত ফলো করে নতুন নতুন আর্টিকেলে কমেন্টের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের প্রচার করুনপ্রতিদিন কমপক্ষে ১০টি ভালমানের কমেন্ট করুন
সময়ঃ প্রতিদিন সময় লাগবে ১ঘন্টা
সোশ্যাল বুকমার্কঃ
নিয়মিত আপনার ওয়েবসাইটের সোশ্যাল বুকমার্ক করুনকমপক্ষে ২০টি হাইপেজ র‌্যাংকিং সাইটে বুকমার্ক করুনখুব সহজে এ কাজটি করা যায়এটি আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলের সার্চে টপে আনতে অনেক সাহায্য করবেতবে সরাসরি ভিজিটর পেতে খুব বেশি সাহায্য করেনা
সময়ঃ বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করলে প্রতিদিন ২০টি সোশ্যালবুকমার্কিং করতে সময় লাগবে মাত্র ১৫ মিনিট
ফোরাম পোস্টিং:
ফোরাম পোস্টিং এর মাধ্যমে খুব ভালমানের ব্যাকলিংক পাওয়া যায়সাথে সাথে টার্গেটেড ভিজিটর পাওয়া যায়কোন নির্দিষ্ট দেশের ভিজিটর যদি চান কিংবা আপনার ওয়েবসাইটের সেবা কিংবা পণ্যের ক্রেতা হওয়া সম্ভাবনা আছে, এরকম টার্গেট করে ভিজিটর পেতে হলে ফোরাম পোস্টিং করে অনেক বেশি উপকার পাবেন যদিও আমি কখনই কোন প্রজেক্টে ফোরাম পোস্টিং করিনাইপ্রতিদিন ৫টি হাই পেজ র‌্যাংকের ফোরামে ব্যাকলিংক করুন
সময়ঃ প্রতিদিন ১ঘন্টা
একটি ওয়েবসাইটকে গুগলের সার্চের টপে নিয়ে আসতে এ কাজগুলো একটানা ৩মাস করলেই হয়ে যাবে, আশা করা যায়অনেক কীওয়ার্ডের ক্ষেত্রে হয়ত আরেকটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে
সবশেষঃ কোন ওয়েবসাইটকে গুগলের সার্চের টপে নিয়ে আসতে হলে আমি কি কি করি সেটা এবার উল্লেখ করি
যেকোন ২-৩ মাস বয়সী ওয়েবসাইটকে এসইও করতে :
দেখেনঃ
১) সোশ্যাল বুকমার্কিং (৩০০ প্রতি মাসে)
২) ডিরেক্টরী সাবমিশন (৩০০ প্রতি মাসে)
৩) ব্লগ তৈরি (২টি প্রতি মাসে)
৪) ব্লগ কমেন্ট (৩০ প্রতি মাসে)
৫) প্রেস রিলিজ (২টি প্রতি মাসে)
৬) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (প্রতিদিন)
৮) ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাসে ১টি করে পেজ তৈরি ও সেই পেজের জন্য কমপক্ষে ২০০০ লাইকের ব্যবস্থা
৯) প্রতিটি গেস্ট পোস্ট, ব্লগ ইন্টারনেটে বিভিন্ন কমিউনিটিতে শেয়ার করা




*****ইন্টারনেটে আয় সম্পর্কে ১০টি ভুল ধারণা।****

ইন্টারনেট ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন বর্তমানে অত্যন্ত আলোচিত বিষয়। বিভিন্ন সুত্র থেকে যারা এবিষয়ে খোজখবর নিচ্ছেন তারা প্রায়ই কিছু ভুল ধারনার শিকার হন। একাজে হাত দেয়ার আগে ভুল ধারনাগুলি সম্পর্কে জেনে নিন।
খুব সহজে, বিনা পরিশ্রমে ইন্টারনেটে আয় করা যায়
এটা সবচেয়ে বড় ভুল ধারনা। আপনি আশা করছেন একজন চাকুরীজীবী কিংবা ব্যবসায়ীর থেকে বেশি আয় করবেন অথচ পরিশ্রম করবেন না এটা বাস্তবসম্মত হতে পারে না। ইন্টারনেটে যে পদ্ধতিতেই আয় করুন না কেন, আপনাকে যথেস্ট সময় এবং মেধা ব্যয় করতে হবে।
ইন্টারনেটে আয় করা সকলের পক্ষে সম্ভব না
এটা আরেকটা বড় ভুল ধারনা। ইন্টারনেটে কাজ বলতে যেমন দক্ষ প্রোগ্রামিং বুঝায় তেমনি তুলনামুলক সহজ গ্রাফিক ডিজাইন বুঝায়, কিংবা আরো সহজ ডাটা এন্ট্রি বুঝায়। যে কোন শিক্ষিত মানুষের পক্ষে মানানসই কাজ খুজে নেয়া সম্ভব। তবে একথা অবশ্যই ঠিক, দক্ষতা যত বেশি আয়ের সুযোগ তত বেশি। দক্ষতা যেহেতু বাড়ানো যায় সেহেতু সুযোগও বাড়ানো যায়।
পেইড-টু-ক্লি (PTC) সহজে আয়ের কার্যকর পদ্ধতি
পিটিসি হচ্ছে কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট লিংকে ক্লিক করবেন আর আপনার নামে টাকা জমা হবে। বিষয়টি সত্যি। তবে যতটা প্রচার করা হয় ততটা না। আপনি কতগুলি ক্লিক করার সুযোগ পাবেন সেটা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়। কাজ করে টাকা না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
ইন্টারনেটে আয় করতে নিজের খরচে ওয়েবসাইট তৈরী করতে হয়
একেবারে বিনামুল্যে ওয়েবসাইট তৈরী করা যায়। কাজেই ওয়েবসাইট তৈরী, ডোমেন কিংবা হোষ্টিং এর খরচ ছাড়াই সব কাজ করা সম্ভব। তবে নিজস্ব ডোমেন-হোষ্টিং সবসময়ই ভাল।
ক্রেডিট কার্ড বা পে-পল একাউন্ট নেই, ফলে একাজ সম্ভব না
কিছুটা সত্যি। ক্রেডিট কার্ড থাকলে কাজের সুবিধে হয়, পে-পল একাউন্ট থাকলেও সুবিধে হয়। তারপরও মানুষ কাজ করছে এগুলি ছাড়াই। অন্য যে পদ্ধতিগুলি রয়েছে সেগুলি ব্যবহার করে কাজ করা সম্ভব।
অনেকগুলি সাইটে অনেকগুলি এডসেন্স ব্যবহার করলে আয় বেশি
এডসেন্সে লাভ দেখে অনেকেই একাধিক এডসেন্স একাউন্ট ব্যবহারে আগ্রহি হন। এটা ভুল পথ। গুগল কোনএকসময় সেটা ধরে ফেলবে এবং সবগুলি একাউন্ট বন্ধ করে দেবে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) সফটঅয়্যার ব্যবহার করলে দ্রুত আয় বাড়ে
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য সফটঅয়্যার ব্যবহার করলে অবশ্যই সাইটের পরিচিতি বাড়ে কিন্তু এডসেন্সকে টার্গেট করে যদি সেটা করেন তাহলে গুগল সেটা পছন্দ করে না। গুগল এমন সাইটে লাভজনক এডসেন্স বিজ্ঞাপন দেয় সেখানে ভিজিটর নিজে আগ্রহি হয়ে যায়। ফলে কোন সাইটে প্রতি ক্লিকে পাওয়া যায় কয়েক সেন্ট, কোন সাইটে কয়েক ডলার।
ইন্টারনেটে আয়ের জন্য কোন খরচ নেই
বিনামুল্যের সবসময়ই কিছু খারাপ দিক থাকে। ভাল হোষ্টিং, প্রয়োজনীয় সফটঅয়্যার, প্রচারের জন্য এডওয়ার্ডস বিজ্ঞাপন সবকিছুই ভাল আয়ের সহায়ক।
ইন্টারনেটে আয়ের ক্ষেত্রে ভৌগলিক সীমারেখা নেই
অনেক সেবার ক্ষেত্রেই অনেক দেশে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বাংলাদেশে যেমন পে-পল ব্যবহার করা যায় না, ক্লিক ব্যাংকে একাউন্ট খোলা যায় না, কোন কোন সাইটে ঢোকা যায় না ইত্যাদি। কোন সেবা কোনদেশে প্রযোজ্য আগে জেনে নেয়াই ভাল।
ইন্টারনেটে কিভাবে কাজ করতে হয় শেখার জন্য কোর্স করা প্রয়োজন
আপনি যখন আয় করতে চান ইন্টারনেট ব্যবহার করে, তখন শেখার জন্যও ইন্টারনেট সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন যায়গা। যে বিষয়ই জানতে চান না কেন, ইন্টারনেট সার্চ করলে তথ্য পাওয়া যাবে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সদস্য হোন, ফোরামে যোগ দিন, সেখানকার বক্তব্যগুলি বোঝার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে সেখানে সমস্যার কথা জানান। কেউ না কেউ উত্তর দেবেন।

1 comment:

  1. আমার অনলাইন শপ kepzone.com এর জন্য লেখাটা কাজে লাগবে। ধন্যবাদ লেখাটা প্রকাশ করার জন্য।

    ReplyDelete